করোনভাইরাস শুরু হওয়ার পর আর্থিক সহযোগিতা প্রকল্প হিসাবে ইউকে সরকার চাকুরীজীবিদের জন্য ফার্লো, সেল্ফ এমপ্লইডদের জন্য গ্রেন্ট প্রদান এবং নিম্ন আয়ের কর্মীদেরকে ইউনিভার্সাল ক্রেডিট গ্রহণের সুযোগ দেয়। কিন্তু পেন্ডামিক শেষ হয়ে আসলেও ইউনিভার্সাল ক্রেডিট এর সুবিধা নেওয়া ১.২ মিলিয়ন বা ১২ লাখ কর্মী অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, যারা কাজের সূযোগ থাকা স্বত্তেও কাজ খুঁজছেনা বা কাজে যোগ দিচ্ছেনা।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) এর তথ্য মতে:
ভাইরাস আঘাত হানার আগে কর্মে অনাগ্রহী লোকের সংখ্যা ছিল চার লাখের মত।
ওএনএস -এর অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের পরিচালক ড্যারেন মরগান বলেছেন যে:
মহামারী শুরুর পর থেকে এ সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
Resolution Foundation Think Tank এর সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে:
যুবকদের একটি ছোট অংশ এখন অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয়। অন্যেরা সম্ভবত কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ভয় বা কোভিডে ভোগার কারণে কর্মে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছে।
BBCN বিশেষ সংবাদ
এছাড়া ইন্সটিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট স্টাডিজ( Institute for Employment Studies - IES) এর পরিচালক টনি উইলসন বলেন:
যুব সমাজের একটি বড় অংশ কর্মে যোগদানের চেয়ে ছাত্র হিসাবে থাকতেই পছন্দ করছে। শ্রমবাজারে সংকট তৈরী হওয়ার এটাও একটি কারণ বলে মনে করছেন তিনি। উইলসন মনে করেন, ১.২ মিলিয়ন কর্মীর এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে ইউপীয়ান কর্মী যারা ব্রেক্সিট এবং কোভিডের কারণে নিজ নিজ দেশে চলে গিয়েছে। বাকি দুই-তৃতীয়াংশ কর্মে অনিচ্ছুক।
এই সমস্যার সমাধান বাতলে দিয়েছেন রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট কনফেডারেশন ( Recruitment and Employment Confederation - REC ) এর ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ কেইট শুস্মিথ। তিনি বলেন,
অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়দের চাকরির বাজারে ফিরে যেতে রাজি করানোর জন্য সরকারী এবং বেসরকারী খাতের মধ্যে একটি যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। জব সেন্টারগুলো যারা চাকরির বাজার থেকে বাদ পড়েছেন তাদের কাজে ফিরে যেতে সাহায্য করতে পারে। সেন্টার গুলো কর্মী এবং নিয়োগদাতাদের পরষ্পরের সাথে সংযোগ ঘটিয়ে দিতে পারে। এটা আমরা আগেও করেছি, এখনো আবার করতে পারি, বলেন মিস শুস্মিথ।