বাংলা বার্তা কমিউনিটি নেটওয়ার্ক. . . ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রাণের উচ্ছ্বাস আর আবেগ ও অনুভূতির আরেক নাম BBCNUK

পাকিস্তানে ভারতের মিসাইল নিক্ষেপ; দিল্লি বলছে দুর্ঘটনা

বুধবার দুর্ঘটনাবশত পাকিস্তানের দিকে একটি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে তারা। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সমযপ্রযুক্তিগত ত্রুটি'র কারণে মিসাইল নিক্ষেপের এই দুর্ঘটনা
bbcnuk

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে পাকিস্তানের পূর্ববর্তী মিয়া চান্নু শহরে একটি 'উচ্চ গতিসম্পন্ন উড়ন্ত বস্তু' ধ্বংস হয়েছে। পরবর্তীতে জানা গেছে ওটি ছিল ভারতের ছোড়া একটি মিসাইল। 

BrahMos missiles India
BrahMos missiles India

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার ডিরেক্টর জেনারেল মেজর বাবর ইফতেখার এই বিষয়ের বিস্তারিত গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরার সময় বলেন, "৯ই মার্চ সন্ধ্যা ৬ টা ৪৩ মিনিটে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এয়ার ডিফেন্স অপারেশন সেন্টার ভারতীয় আকাশসীমার ভেতরে উচ্চ গতিসম্পন্ন একটি বস্তুর উড্ডয়ন পর্যবেক্ষণ করে।"
"প্রাথমিক উড্ডয়নের পর উড়ন্ত বস্তু হঠাৎ পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং ৬টা ৫০ মিনিটে (পাকিস্তান সময়) মিয়া চান্নুর কাছে পতিত হয়।"
কোন ধরণের মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তা নিশ্চিত করে না বললেও ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি সুপারসনিক মিসাইল বা শব্দের চাইতে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্র, যার নাম 'ব্রাহমোস।'

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য 


ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বুধবার দুর্ঘটনাবশত পাকিস্তানের দিকে একটি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে তারা। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সময় 'প্রযুক্তিগত ত্রুটি'র কারণে মিসাইল নিক্ষেপের এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতের কর্তৃপক্ষ।
দিল্লি এই ঘটনায় 'গভীর অনুশোচনা' প্রকাশ করেছে এবং দুর্ঘটনায় কেউ নিহত না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: ৯ই মার্চ ২০২২ তারিখে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাবশত একটি মিসাইল উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটে। ভারত সরকার এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখছে এবং এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আদেশ দিয়েছে।"

এই ধরণের 'অবহেলার অপ্রীতিকর পরিণতি'র বিষয়ে সতর্ক থাকা, এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে বিষয়ে দিল্লিকে সতর্ক করেছে ইসলামাবাদ। তারা বলছে মিসাইলটি হরিয়ানা রাজ্যের সিরসা থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

ব্রাহমোস মিসাইলের ক্ষমতা 

১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া ব্রাহমোস এরোস্পেসের তৈরি মিসাইল ব্রাহমোস মিসাইলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২.৮ 'ম্যাক' (ঘণ্টায় প্রায় ৩,৪৫০ কিলোমিটার বা ২,১৪৮ মাইল/ঘণ্টা)। অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম দিয়ে এটিকে থামানো কঠিন।
বিভিন্ন ধরণের রাডার ফাঁকি দিতেও সক্ষম এই মিসাইল।
ভূপৃষ্ঠের ১৫ কিলোমিটার ওপর দিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আছে এই মিসাইলটির। এর ২০০ থেকে ৩০০ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক (পারমাণবিক নয়) বহন করার সক্ষমতা রয়েছে।
এই মিসাইলটির সাথে একটি ইঞ্জিন রয়েছে, যেটি জ্বালানি বহন করতে পারে।
মিসাইল নিক্ষেপের প্রথম ধাপে এই ইঞ্জিন অতি উচ্চ গতিতে (শব্দের চেয়ে দ্রুত গতি) মিসাইলটি বহন করে নিয়ে যায় এবং ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এর 'র‍্যামজেট' প্রযুক্তি (বিমান উড্ডয়নের এক ধরণের পদ্ধতি) কার্যকর হয়। তারপর মিসাইলটির গতি বৃদ্ধি পায় এবং 'ম্যাক থ্রি' বা শব্দের তিনগুন গতিবেগ অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছায়।
এই ধরণের মিসাইলের গতিপথ শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা যায় না।


BBCN থেকে আরো পড়ুনঃ


Getting Info...

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.