বাংলা বার্তা কমিউনিটি নেটওয়ার্ক. . . ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রাণের উচ্ছ্বাস আর আবেগ ও অনুভূতির আরেক নাম BBCNUK

বিশ্ব জুড়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি; মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস

বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক দেশে চরম খাদ্য সংকট তৈরী হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী বিশ্বের ৪৫টি দেশে
bbcnuk

বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক দেশে চরম খাদ্য সংকট তৈরী হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী  বিশ্বের ৪৫টি দেশে খাদ্যের প্রবল সংকট তৈরি হয়েছে।

Fruits and Vegetables
Fruits and Vegetables 

যার মধ্যে ৩৪টি আফ্রিকায়। বাইরের দেশ সাহায্য না করলে সেখানে মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যেতে পারেন। অন্য দিকে, করোনার কারণেই গত ছয় বছরের মধ্যে রেকর্ড দাম ছুঁয়েছে গোটা বিশ্বের খাদ্য দ্রব্য। পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে দাম আরো বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
 

জাতিসংঘের খাদ্য সংক্রান্ত সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন সম্প্রতি  বিশ্বের খাদ্য সংকট নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর গত নভেম্বরে গোটা বিশ্বের খাদ্য দ্রব্যের দাম রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক খাদ্য দ্রব্যকে নিয়ে এক একটি বাসকেট বা ঝুড়ি তৈরি করে এই সংস্থাটি। তারপর গোটা বিশ্বে তাদের দামের অনুপাত তৈরি করে একটি পয়েন্ট বার করা হয়। সেই পয়েন্টের সাপেক্ষেই বোঝার চেষ্টা করা হয় ওই খাদ্যদ্রব্যগুলির দাম ঠিক কতটা বেড়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১২ সালের পর খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়ার গতি কখনো এতটা হয়নি। অন্য দিকে ২০১৪ সালের পর খাদ্য দ্রব্যের দামের এমন রেকর্ড বৃদ্ধিও ঘটেনি।

BBCN বিশেষ সংবাদ


সব চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ভোজ্য তেলের। বিশ্বের বাজারে পাম তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই সার্বিক ভাবে তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ। চাল, গম, ভুট্টা, জোয়ার সহ একাধিক সিরিয়ালের দাম বেড়েছে। চিনির দাম বেড়েছে তিন দশমিক তিন শতাংশ। গত বছর দুগ্ধজাত খাবার এবং মাংসের দাম ১৩ দশমিক সাত শতাংশ কমেছিল। এ বছর তা প্রায় এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৪৫টি দেশে প্রবল খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে ৩৪টি আফ্রিকার দেশ। সাহায্য না পেলে সেখানে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে আরো একটি কথার উল্লেখ রয়েছে, করোনা মহামারী না কমলে বিশ্ব জুড়ে খাদ্য সংকট আরো বৃদ্ধি পাবে।

ইউকেতে পন্য মূল্য বৃদ্ধির হার ৪% থেকে ৫০% বৃদ্ধি 


ইউকেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির হার সরকারি ভাবে ৪% থেকে ৫% দেখানো হলেও বাস্তবে তা অনেক বেশি। সুপার মার্কেটগুলোতে মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ ১৫% থেকে ২০%। এশিয়ান গ্রোসারিগুলোতে এই বৃদ্ধির হার ৩০% এর বেশি।  বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং এশিয়ার অন্য দেশ থেকে আমদানিকৃত সবজি ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০% থেকে ৫০%।

মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস


মূল্যের এই উর্ধগতি সবচেয়ে বেশি সংকটে ফেলেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে। সারা বিশ্বের মধ্যবিত্তের একই অবস্থা। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতো বটেই উন্নত দেশগুলোর মধ্যবিত্তরা আছে আরো বেশি সংকটে। করোনার সময় উন্নত দেশগুলি যেসব প্রনোদনা এবং সহজ ঋণ দিয়েছে তা এখন কর বৃদ্ধির মাধ্যমে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশের সরকার। এর বড় প্রভাব পড়ছে সাধারণ মধ্যবিত্তের উপর। কারন সংকটকালে সরকারের সহজ নীতির সুযোগ নিয়ে প্রনোদনা ও ঋণের সিংহভাগ অর্থ নিয়ে গেছে প্রতারকরা যা কর ও সরকারি সেবার মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে উঠানোর নীতি মারাত্মক প্রভাব ফেলছে মধ্যবিত্তের উপর। 



BBCN থেকে আরো পড়ুনঃ




Getting Info...

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.