মার্গারেট থ্যাচারের অসমাপ্ত রাইট-টু-বাই হাউজিং প্রকল্প সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরিস জনসন; স্বপ্ন পূরণ হতে পারে মিলিয়ন নাগরিকের
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করেছেন যে রাইট টু বাই প্রকল্পের আওতায় ২.৫ মিলিয়ন হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন ভাড়াটেদের তাদের বাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি দেশের ৪.৬ মিলিয়ন ইজারাদারদের জন্য ফ্রিহোল্ড কেনার বিষয় আরও সহজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের ক্রেতাদের জন্য স্বল্পমূল্যের অর্থায়ন উম্মুক্ত করা এবং অল্প বয়স্ক ক্রেতাদের সম্পত্তির মালিকানায় যেতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্গারেট থ্যাচারের রাইট-টু-বাই হাউজিং প্রকল্প
মার্গারেট থ্যাচারের রাইট-টু-বাই হাউজিং প্রকল্পটি ১৯৮০ সালে চালু করা হয়েছিল এবং এর শুরুর বছরগুলিতে কয়েক লাখ কাউন্সিল হাউজের ভাড়াটেদের বাড়ি কিনতে সাহায্য করেছিল। তখন ছাড়কৃত মূল্যে কাউন্সিলগুলোকে নিজস্ব মালিকানার বাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু যে পরিমাণ বাড়ি বিক্রি হয়েছে তার বিপরীতে মাত্র ২০% নতুন বাড়ি নির্মিত হওয়ায় কাউন্সিলের উপর থেকে বাড়ি বিক্রির বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু কাউন্সিল টেনেন্টদের রাইট টু বাই অব্যাহত ছিল। এই প্রকল্পের আওতায় গত ৪০ বছরে ১.৮ মিলিয়ন কাউন্সিল মালিকানার বাড়ি ৩৫ থেকে ৭০% ডিসকাউন্টে বিক্রি হয়েছে। মার্গারেট থেচারের এই প্রকল্পটি যারা কাউন্সিল থেকে সাধারণ বেনিফিট নিয়ে প্রাইভেট বাড়িতে ভাড়ায় থাকে এবং যারা নিম্ন আয়ের মানুষ প্রাইভেট বাড়িতে ভাড়া থাকে তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে সমালোচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘোষণা
মার্গারেট থেচারের প্রকল্পটি আরো সম্প্রসারণ করার নতুন ঘোষণা দিয়েছে বরিস জনসন। এতে কাউন্সিলের আওতায় যারা হাউজিং এসোসিয়েশনের বাড়িতে
থাকে তারাও রাইট টু বাইয়ের আওতায় পড়বে। এছাড়া কাউন্সিলের বেনিফিট নিয়ে প্রাইভেট বাড়িতে যারা ভাড়া থাকে তারা বাড়ি কিনার ক্ষেত্রে হাউজিং বেনিফিট মর্টগেজে ব্যাবহারের সুযোগ পেতে পারে। অর্থাৎ বাড়ি কিনার পরও তাদের হাউজিং বেনিফিট অব্যাহত থাকবে। তবে তারা কোন ডিসকাউন্ট পাবেনা। আবার নিম্ন আয়ের মানুষ যারা প্রথম বার বাড়ি কিনবে ব্যাংক যাতে তাদেরকেও লোন দেয় (এখন বছরে ৪০ হাজার পাউন্ডের বেশি আয় না থাকলে ব্যাংক লোন দিতে চায়না) এবং যাদের বয়স খুব কম তারাও যাতে সহজ শর্তে বাড়ি কিনতে পারে সরকার সে ব্যাবস্থা করবে।
তবে এটি প্রধানমন্ত্রী মাত্র ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি কেবিনেটে আলোচনা, বিল আকারে পার্লামেন্টে যাওয়া এবং আইন আকারে চুড়ান্ত হয়ে আসা একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।